পানি কামড়ায়

chasa habiber kobita
                                    chasa habib

পানি কামড়ায়।। চাষা হাবিব

যখন আমরা দলবেঁধে নেমে পড়ি হাঁটুজলে- সর্বনাশ হয় আলতা বু’র; পানি কামড়ায়; পানি কামড়ির জ্বলনে জ্বলতে থাকে- হাত পা সহ তামান শরীল। জ্বলন আর জ্বলন; জ্বলতে জ্বলতে শরীর জুড়ে নাঁঢ়াই শুরু করে জোঁক আর জল।
বল সাবানের ফেনায়-
শেফালি ভাবী- আবুল ভাইয়ের বউ, পরনের কাপড়ের রং ফ্যাকাশে হয়; মাড়কিনের মতন সফেদ মৃতরঙ। থকথকে ভিতরগড়ে শাদার লাহান গরম তেলে ভাজতে ভাজতে ফুলে ওঠে জব্বার ভাইয়ের হাঁটু- পুড়ে দেয় মজ্জার চুন-সুরকি; নরম হয় রাতের চাঁদ, গরম হয় চাঁদের রাত।
ফুলতে ফুলতে কড়াইয়ের লুচি পরাটা হয়; ভিতরে চালান করে; কড়াইয়ের তেলে ভাজা হয় পোয়াতি চাল-নুনগোলা শ্বাস-জমাট বিভ্রাট। আমরা মানুষরা- সরিষা নাকি সয়াবিন নাকি পামওয়েল এসব নিয়া বাহাস করি; ওসব দেখতে দেখতে মিটমিটে হাসে ওপাড়ার ছগেন; কত এলো কত গেলো!-শালার পানি কামড়ানো গেলো না। জুলাই-আগষ্ট তখনও ছিল- এখনো আছে; বলেই টান দেয় বিড়ির আগুনে-সুখটান; কি সুখ আর সুখ! ক্ষমতাসুখে জোঁক আর জলে ব্রিধান হয় দলীয় চাল।
ঢাকার ফুটপাত-বস্তি আর সুরম্য প্রাসাদ দেদারসে তেল মারে; তেল খায়- মারতে মারতে দালানগুলা আকাশ ছোঁয়; যেন ছুঁতে না পারে- তেলহীন শরীল; তৈলাক্ত মায়ায় বুদ হয় দেহলোভ। জলের টানে গা টনটন করে; জলে জমে পানাজল- অথচ আমরা জলে নামলেই- দলবেঁধে পানি কামড়ায়…
২৫ মে. ২০২২ খ্রিষ্টাব্দ, দিনাজপুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button