লেখক পরিচিতি – চাষা হাবিব কবি ও গবেষক দিনাজপুর

চাষা হাবিব নামেই লেখালেখি। পৈত্রিক নাম মো. হাবিবুর রহমান। জন্ম ১৬ নভেম্বর ১৯৮০; দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের দাদুল গ্রামে। মায়ূন মুহাম্মদ হাদীদ ও অকাল প্রয়াত কন্যাসন্তান নূর-এ-হাবিব মৃত্তিাকা’র জনক।

কলেজ শিক্ষকতার পাশাপাশি বর্তমানে উন্নয়ন গবেষণায় লিপ্ত। সম্পন্ন করেছেন মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা বিষয়ক একাধিক গবেষণাকর্ম। কবি ও গবেষক চাষা’র জীবনে কবিতা অন্যতম অনুসঙ্গ। লিখে চলেছেন মনের আনন্দে। তিনি দিনাজপুর যাদুঘর ও হেমায়েত আলী লাইব্রেরির নির্বাহী সদস্য, এছাড়াও যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য সংগঠনে। সাহিত্য সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছেন দৈনিক আলোকিত দিনাজপুর পত্রিকায়। এছাড়া শব্দশর, পাতা সাহিত্য পত্রিকা সম্পাদনায় সহযোগি সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। নিজ সম্পাদনায় প্রকাশ করছেন শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও মননের চতুর্মাসিক সাহিত্যপত্রিকা বাহে’।

প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা-১২টি, প্রকাশিতব্য গ্রন্থ-২২টি; এছাড়া বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ৮০টি’র অধিক। তাঁর লেখা দেশি বিদেশী বিভিন্ন স্বনামধন্য পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে সমানতালে নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।

প্রথম কবিতা প্রকাশ কবির অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় (১৯৯৩) মাদারিপুর থেকে প্রকাশিত একটি সাহিত্য পত্রিকায় ‘স্বাধীনতা’ শিরোনামে (স্বাধীনতা দিবস সংখ্যা)। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ বইমেলা ২০১২-‘অঞ্জলি ভরে ওঠে গন্ধ ভরা বাতাসে’।

নুর মোহাম্মদ এবং প্রয়াত নুর নাহার বেগম দম্পতির কনিষ্ট পুত্র। দাদুল চকিয়াপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে এসএসসিতে ১৯৯৭ সালে বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েই চট্টগ্রামে বড় ভাইয়ের নিকট গমন। পাহাড়তলি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে এইচএসসি, অতপর চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ হতে ¯œাতক এবং চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে বাংলায় ¯œাতকোত্তর পাশের পর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা বিভাগে সহকারি শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু। এরপর করেছেন শিক্ষায় বিএড (প্রথম বিভাগ) এবং এমএড (প্রথম বিভাগ) ডিগ্রী। এছাড়াও সিনেমা ও নাটকের স্ক্রিপ্ট প্রস্তুত করণের উপর করেছেন ডিপ্লোমা কোর্স এবং করেছেন বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ গ্রহণ। সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের গণহত্যা-নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ শীর্ষক পোস্ট গ্রাজুয়েট প্রশিক্ষণ কোর্স শেষে মুক্তিযুদ্ধ এবং গণহত্যা বিষয়ক গবেষণাকর্মে লিপ্ত রয়েছেন। অংশ নিয়েছেন দক্ষতা বৃদ্ধির একাধিক কর্মশালায়। তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক প্রশিক্ষণে মাষ্টার ট্রেইনার ও কোর ট্রেইনার (এইডস ও এসটিডি এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা)। করেছেন ডিজিটাল কনটেন্ট ম্যানেজমেন্টের উপর ডিপ্লোমা।

প্রথম শিক্ষকতা হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা স্কুল এ- কলেজে এবং পরে রামপুর সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ে। পরবর্তীতে পুনরায় হালিশহর আহমদ মিয়া সিটি কর্পোরেশন বালিকা স্কুল এ- কলেজে শিক্ষকতা; একান্ত পারিবারিক কারনে চাকুরিতে ইস্তেফা এবং দিনাজপুরে প্রত্যাবর্তন। এরপর দিনাজপুর পাবলিক স্কুলে (ইংলিশ ভার্সন) ভাইস প্রিন্সিপাল হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন; সিডিএ নামক উন্নয়ন সংস্থার গ্রন্থনা ও প্রকাশনা বিভাগের গবেষণা এবং প্রকাশনা এবং উন্নয়ন সংস্থা সানফ্লাওয়ার এর জনউন্নয়ন বিষয়ক কাজসমূহ দেখভাল। বর্তমানে দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজে খ-কলীণ (অতিথি) প্রভাষক-বাংলা হিসেবে কর্মরত। তিনি কলেজ এবং স্কুল উভয়টিতেই এনটিআরসি কর্তৃক নিবন্ধিত।

প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম:

কাব্যগ্রন্থ- অঞ্জলি ভরে ওঠে গন্ধ ভরা বাতাসে-২০১২; বেগুনির ওপারে-২০২০; চাষা’র খসড়া-২০২০; যাযাবর ক’ছত্র-২০২১;

গবেষণাপ্রবন্ধ গ্রন্থ- `কড়া’ সমতলের বিপন্ন আদিবাসী কড়া’র জীবনালেখ্য-২০২০; ১৯৭১: গণহত্যা আটপুকুর হাট-২০২১; কবি মাহমুদ আখতার জীবন ও কর্ম-২০২১; বিদ্রোহী’ কবিতার ১০০ বছর: পুনপাঠ-২০২১; সাঁওতাল বিদ্রোহ ও দিনাজপুরের সাঁওতাল-২০২২; বঙ্গবন্ধুর ভাষণে গণমানুষ-২০২২; ১৯৭১: ফুলবাড়ি, দিনাজপুর-২০২৩;

শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ- বোকা পালোয়ান-২০২৪;

সম্পাদনা- বাহে’ সাহিত্যপত্রিকা (আলোকন ও বোধন সংখ্যা)- ২০২৩; দৈনিক আলোকিত দিনাজপুর সাহিত্যপাতা;

পেয়েছেন আন্তর্জাতিক সাহিত্য ও সংস্কৃতিক সংগঠন বিশ্বভরা প্রাণ কবি সম্মাননা-২০১৯; বিএল কলেজ খুলনা’র আবৃত্তি সংগঠন বায়ান্ন কর্তৃক কবি সম্মাননা-২০১৯; শব্দশর দিনাজপুর সাহিত্য সম্মাননা-২০২০; দিনাজপুর লেখক পরিষদ সম্মাননা-২০২১ ও কবিতার মাটি সাহিত্য পুরুস্কার-২০২২ এবং সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য নাট্য ব্যক্তিত্ত্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহন কুমার দাস স্মৃতি পদক-২০২২ এবং সাহিত্য ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজ কর্তৃক সম্মাননা ম্মারক-২০২৩ এ ভূষিত।